চান মিয়া, ছাতক (সুনামগঞ্জ) দেশের একমাত্র রাষ্ট্রায়ত্ব প্রতিষ্টান ছাতক সিমেন্ট কারখানার আবাসিক কোয়ার্টারে অর্ধশতাধিক বহিরাগত পরিবার দীর্ঘদিন থেকে বসবাস করছে। সম্প্রতি কারখানা কর্তৃপক্ষ অবৈধভাবে বসবাসরত ৫৭টি পরিবারের মধ্যে কয়েকটি পরিবারকে বের করে দেয়। তবে ছেলে-মেয়েদের লেখা-পড়ার অজুহাতে এখনো বসবাস করছে আরো একাধিক পরিবার। অভিযোগে জানা গেছে, আবাসিক কোয়ার্টারে বহিরাগতদের দীর্ঘদিন থেকে অবস্থান করায় ছাতক সিমেন্ট কারখানার নিরাপত্তা ব্যবস্থা চরম হুমকির সম্মূখিন হয়ে পড়েছে। অবৈধভাবে বাহিরাগতদের অবস্থানে যে কোন সময় অনাকাংখিত ঘটনা ঘটার ও সম্ভাবনা রয়েছে বলে অভিজ্ঞমহল ধারনা। একশ্রেণীর অসাধু শ্রমিক-কর্মচারি নিজেদের নামে কারখানার বাসা বরাদ্ধ নিয়ে উচ্চমূল্যে বহিরাগতদের কাছে ভাড়া দিয়ে যাচ্ছেন বছরের পর বছর থেকে। সম্প্রতি অবৈধ বসবাসরত পাথর ব্যবসায়ি মামুন মিয়া, ৪নং বাজারের ব্যবসায়ি আবুল কালাম, জনৈক ইউপি চেয়ারম্যানসহ অবৈধভাবে বসবাসরত ৫৭টি পরিবার চিহ্নিত করে এদের মধ্যে কয়েকটি পরিবারকে কারখানা কর্তৃপক্ষ কোয়ার্টার থেকে বের করে দেয়। কিন্তু এরপর ও কারখানার কোর্য়াটারে অবৈধভাবে বসবাস করছে ৪নং এলাকার মসজিদ বিল্ডিংয়ের ৩য় তলায় ডিস লাইনের কর্মচারি কালিদাস, ৪নং এলাকায় ব্যবসায়ি আব্দুর রহমান, অফিসার্স কলোনীতে কয়েছ মিয়া, মোস্তফা ট্রেডার্সের মালিক মোস্তফা মিয়া, জামতলায় খসরুল হক চৌধুরীর বাসায় ময়না বেগমসহ আরো প্রায় ৩০টি পরিবার। আইগতভাবে শ্রমিকের নামে বরাদ্ধে বাসায় শ্রমিক ছাড়া আর কারো বসবাসের অনুমতি না থাকলেও সরকার দলের ছত্রছায়ায় থাকা খসরুল হক চৌধুরীসহ অন্যান্যের বিরুদ্ধে এর কোন প্রয়োগ হচ্ছেনা। ফলে টাকার লোভে শ্রমিক-কর্মচারিরা কারখানার সংরক্ষিত এলাকার আবাসিক কোয়ার্টার ভাড়া দিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়া বছরের পর বছর থেকে কারখানার পানি ও বিদ্যুৎ ব্যবহার করছে পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন দোকান, খামারসহ এলাকার অসংখ্য পরিবার। তারা নিজেদের প্রভাব-প্রতিপত্তির জোরে কারখানা সংশ্লিষ্ট না হয়েও টাকার বিনিময়ে এসব ব্যবহার করে যাচ্ছেন। জানা গেছে, নোয়ারাই-ইসলামপুরের ইকবাল মিয়ার বাসাও জনৈক মোস্তফা মিয়ার মৎস্য খামার ও দোকানে কারখানার বিদ্যুৎ ব্যবহার হচ্ছে। কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কাজি রুহুল আমিন জানান, কোয়ার্টারে বহিরাগতদের থাকার ব্যাপারে কোন ইনফরমেশন নেই। কেউ থাকলে (আমি ঢাকা থেকে আসার পর) এদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে। জিএম (প্রশাসন) আনোয়ার হোসেন একই বক্তব্য দিলেও কারখানার আবাসিক কোয়ার্টারের প্রকৃত চিত্র এর সম্পূর্ণ ভিন্ন রকমের।